মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় চাইলে ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তবে এখন পর্যন্ত সে অনুমতি চায়নি তারা।
রবিবার রাজধানীর মোহাম্মদপুরের টাউন হল বাজারের সামনে এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন মন্ত্রী। দেশে গত কয়েকদিনে ডিমের দামের রেকর্ড হয়েছে, ১৭৫ টাকা ডজন করে বিক্রি হচ্ছে ডিম। এ অবস্থায় বাজার নিয়ন্ত্রণে আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় যদি ডিম আমদানির অনুমতি চায় সেক্ষেত্রে আমরা ডিম আমদানির অনুমতি দেব
পেঁয়াজের দাম যখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় তখন আমদানির অনুমতি দেওয়ার পর দাম কমে আসে, ডিমের ক্ষেত্রেও কী তাই ঘটতে পারে- এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ডিমের কত উৎপাদন হচ্ছে, বাজারে কত চাহিদা আছে, ঘাটতি কত- এ ব্যাপারে মৎস্য মন্ত্রণালয় আমাদেরকে কিছুই জানায়নি। এমনকি ডিমের উৎপাদন খরচ কত এবং কত টাকা দাম নির্ধারণ করা উচিত সেটাও তারা বলেনি। প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় যদি এসব তথ্য আমাদের দেয়, তবে বাজার বিশ্লেষণ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ডিম আমদানির অনুমতি দেবে।
টিসিবিতে চাল ডালের সঙ্গে চিনি না থাকার বিষয়টি জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম বেশি এবং না পাওয়ার কারণে কিছু দিন চিনি দেওয়া হচ্ছে না। বিকল্প বাজার থেকে চিনি কেনা হয়েছে, আশা করি দ্রুত চিনি দেওয়া সম্ভব হবে।
ভারত থেকে ছয় পণ্যের কোটা সুবিধা প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, শীঘ্রই আমি ভারতে যাচ্ছি। ভারত থেকে ছয়টি পণ্যের কোটামুক্ত আমদানির ক্ষেত্রে আলোচনা বেশ অগ্রসর হয়েছে। আশা করি সুখবর পাব।
‘সরকার চাইলে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনা সম্ভব’,মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কর্মকর্তাদের এমন মতামত সম্পর্কে জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এটা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিষয়। এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কোনো কথা বলা উচিত নয়।
এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারীদের কাছে আগস্ট মাসের চালসহ টিসিবির পণ্য সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধনী এ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আরিফুল হাসান, ৩৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম সেন্টু প্রমুখ।
এদিকে রবিবার থেকে ১০০ টাকা দরে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল, ৩০ টাকায় প্রতিকেজি চাল ও ৬০ টাকায় মসুর ডাল বিক্রি করছে সরকারের বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)।
একজন ফ্যামিলি কার্ডধারী ৩০ টাকা কেজি দরে সর্বোচ্চ পাঁচ কেজি চাল, ৬০ টাকা কেজি দরে সর্বোচ্চ দুই কেজি মসুর ডাল ও ১০০ টাকা দরে ২ লিটার সয়াবিন তেল কিনতে পারবেন। এ বিক্রয় কার্যক্রম শুধু মহানগরীগুলোতে এবং আঞ্চলিক কার্যালয় সংশ্লিষ্ট জেলাগুলো পরিচালনা করা হবে।
© 2023 | All Right Reserved | Developed By WebGet