প্রিগোজিনের জন্য জীবন দিতে হলো বিমানে থাকা তিন পাইলটসহ ৯ জনকে। তাদের কিন্তু কোনো দোষ ছিল না। কিন্তু প্রিগোজিনকে মারতে হবে বলে বাকিদের জীবন নিয়ে ভাবল না পুতিন।
প্রিগোজিনকে যে পুতিনের নির্দেশ হত্যা করা হয়েছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। আগেরদিন বিমান বাহিনী প্রধান সুরোভিকিনকে সরিয়ে দেয়া হয়। পরদিনই প্রিগোজিনের বিমান বিধ্বস্ত হলো। বিধ্বস্ত বলতে ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে নামানো হয়েছে।
কর্তৃত্বপরায়ণ সরকার এমনই হয়। গণতান্ত্রিক দেশ হলে প্রিগোজিন যে মাত্রায় অপরাধ করেছে, নিয়মমাফিক তার বিচার হতো। কিন্তু স্বৈরাচার সবসময় বাঁকা পথে কাজ সারতে চায়।
প্রিগোজিনকে দোষী বলতে হলেও অনেক হিসাব কষতে হবে। ইউক্রেনের বাখমুতে তার বাহিনী প্রচণ্ড যুদ্ধ করে অঞ্চলটি দখলে নিয়েছিল, যেখানে কমপক্ষে ২০ হাজার ভাড়াটে সেনা নিহত হয়। প্রিগোজিনের অভিযোগ ছিল, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের ঠিকমতো অস্ত্র সরবরাহ করে না। আর তার প্রকাশ্য বিদ্রোহের বড় কারণ ছিল রুশ বাহিনী হামলা চালিয়ে ভাড়াটে যোদ্ধাদের হত্যা করেছিল।
প্রিগোজিন মূলত আগুন নিয়ে খেলছিলেন। সেই আগুনেই প্রাণ গেল তার। পুতিনও আগুন নিয়ে খেলছেন। তার ভাগ্যে কী ঘটে সেটি দেখার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।
কবির কাননের ফেসবুক থেকে নেওয়া
© 2023 | All Right Reserved | Developed By WebGet