একজন নারীকে আপনার পছন্দ হলে বাসায় পিতামাতার সাথে কথা বলেন। উনাদেরকে রাজী করিয়ে মেয়ের বাড়িতে মেয়ের অনুমতি নিতে প্রস্তাব পাঠান। মেয়ে ও তার পরিবার রাজী থাকলে বিবাহ করে ফেলুন। এর ব্যত্যয় আপনার জন্য পরিণামে দুখ ডেকে আনবে। আনবেই আনবে।
বিয়ে অত্যন্ত সুন্দর একটি বিষয়। আপনি একজন নারীর জিম্মাদারি নিচ্ছেন যাকে তার বাবা এতোদিন নিজ জিম্মায় রেকেছিলেন। আজ থেকে তার সমস্ত দায়িত্ব আপনার কাধে। এতে আপনার দায়িত্ব নেবার যে সক্ষমতা সেটাও যেমন বাড়বে তেমনি আপনি একটা সুকুন পাবেন। প্রেম তো শুধু স্ত্রী র সাথেই হয়। স্ত্রী ব্যতীত কোনো মেয়ের সাথে আপনার শুধু জেনাই হয়! হয় সেটা মুখের অথবা সেটা লজ্জস্থানের। ভালোবাসাও শুধু স্ত্রীর জন্যই। অন্য কোনো মেয়েলোকের জন্য যা তা ব্যাভিচার!
বিয়েটা সহজ করি আমরা। ছেলেদেরকে ছোট থেকেই জিম্মাদারী নিতে গড়ে তুলি। প্রথম জিম্মাদারি নেয় সে মায়ের তারপর বোনের। এই দুইটা জিম্মাদারি যে ছেলে নিতে শিখলো সেই ছেলেকে বিয়ে করে ফেলবন। সে আপনার জিম্মাদারি নেওয়ার যোগ্যতা পরিপূর্ণভাবে অর্জন করে ফেলেছে! তাকে নিয়ে ডেটিং, টুর এসবে না গিয়ে সরাসরি আপনার বাবাকে দিয়ে তার বাবার কাছে প্রস্তাব পাঠান। ইসলামের প্রথম যুগে এরকম হতো। হজরত মুসা (আ) এর ঘটনাও তো জানেন! মোদ্দাকথা হারামে ন গিয়ে হালালে থাকেন। আসমানে যিনি আছেন তার ওয়াদা হালালে। তিনি পবিত্র, তাই তিনি পূত পবিত্র বিষয়কেই পছন্দ করেন। হারামে তিনি কোনো আরাম রাখেন-ই নাই। যা রেখেছেন তা হলো শয়তানের দেয়া নফসের ওয়াস ওয়াসা।
এটার ঊর্ধে উঠাই পুরুষ মানুষি! হারামভাবে একাধিক মেয়েকে নিয়ে ঘোরা না। একাধিক গার্ল্ফ্রেন্ড থাকা না। ওগুলো বিতাড়িত শয়তানের কাজ। বেরিয়ে আসেন। যাকে ভালোবেসেই ফেলছেন দ্রুত বিয়ে করে নেন। তাকে দুনিয়া ও আখিরাতের সঙ্গী বানিয়ে নেন। কি জিনিস আপনাকে আটকে রেখেছে? যেটা রেখেছে সেটা আপনার নোংরা মন। তাকে খালিছ/শুদ্ধ/পরিশুদ্ধ করেন। নয়তো এটা আপনাকে বিয়ের পর এবং জীবনের পরবর্তী পর্যায়ে ভীষণ বিপদের সম্মুখীন করবে। আল্লহপাক আমাদের সবাইকে বিষয়টা বোঝার তওফিক দান করেন।
ক্যাম্পাসের এক ছোট ভাই এই কেইসে সুইসাইড করে ফেলেছে। ভাবতে পারেন হারামের তীব্রতা সম্পর্কে?
(জাকি যুবাইর এর ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
© 2023 | All Right Reserved | Developed By WebGet