১৯৪৮ সালে অনেকটা জোরপূর্বকভাবে ইহুাদিরা প্যালেস্টাইনের ভূখণ্ডে ইসরাইল নামক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে। জাতিসংঘ সেই রাষ্ট্রটিকে স্বীকৃতিও দেয়। কিন্তু যাদের ভূখণ্ড দখল করলো তারা তখনও স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। কারণ, ভূখণ্ডটি ছিলো ভারতবর্ষের মতো একটি বৃটিশ কলোনি। তাদের মর্জি মাফিকই ইহুদিরা সেখানে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছিল। ১৯১৭ সালে বেলফোর ঘোষণা ইহুদিদের এই ভূমি পেতে সহায়তা করে। যার ফলশ্রুতিতে ডেভিড বেন গুরিয়েন ১৯৪৮ সালে ইসরাইলের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। তাও আবার আরেকজনের ভূমি দখল করে।
এখন প্রশ্ন আসতে পারে, ফিলিস্তিন কেন ১৯৪৮ এর আগে কিংবা পরে স্বাধীনতা ঘোষণা করলো না? উত্তরটা খুব সোজা নয়। কারণ, এই ফিলিস্তিন নিয়ে তৎকালীন আরব শেখগণের পদক্ষেপ ছিলো খুবই নগণ্য। তারা প্রকৃতপক্ষে ছিল ব্রিটিশদের আজ্ঞাবহ। ক্ষমতার মোহ তাদেরকে অন্ধ করে দিয়েছিল।
আরবরা নীতিগতভাবে উসমানীয় তুর্কি খেলাফতকে সমর্থন করতো না। তারা চাইতো, এই খেলাফত ভেঙে পড়ুক। তাহলে আরবরাই মুসলিম বিশ্বের নিয়ন্তা হিসেবে আবির্ভূত হবে। এই লক্ষে, আরবরা তুর্কিদের পক্ষাবলম্বন না করে বৃটিশদের সহায়তা করে। এমনকি ফিলিস্তিনের আরবরাও বৃটিশদের পক্ষেই ছিল। যখন ১৯২৩ সালে লুজন চুক্তি হয়, সে সময়ে আরবরা এর বিপক্ষে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়নি। ভারতে খেলাফত আন্দোলন হলেও আরবে কিন্তু এমন কোনো আন্দোলন হয়নি। বরং তারা অ্যারাবিজমকেই প্রাধান্য দিয়েছে৷ যার প্রায়শ্চিত্ত আরবরা শত বছর ধরে করছে। বিশেষত ফিলিস্তিনি আরবরা এর ভুক্তভোগী সবচেয়ে বেশি।
চলবে----
লেখক: প্রভাষক, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি
© 2023 | All Right Reserved | Developed By WebGet