হামাস, ইসলামিক জিহাদসহ বিভিন্ন সশস্ত্র গ্রুপ ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার জন্য ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে আসছে দীর্ঘদিন যাবত। এসব সংগঠন অর্থায়ন ও অস্ত্র - প্রশিক্ষণ বিভিন্ন দেশ থেকে তারা পেয়ে থাকে। গাজার মাটির নিচে তারা সুদীর্ঘ টানেল নেটওয়ার্ক তৈরি করে রেখেছে যা তাদের সুরক্ষা কবচের কাজ করছে।
তৃতীয় ইন্তিফাদা : ইসরায়েলের অন্যতম মূল লক্ষ্য জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা। এ কাজে ইসরায়েল তার দীর্ঘদিনের মিত্র আমেরিকার দারস্থ হয়। তেলআবিব থেকে রাজধানী স্থানান্তরের এ প্রক্রিয়া বিশ্বের অধিকাংশ দেশই সমর্থন করে না। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল ট্রাম্প ২০১৭ সালের ৭ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার পবিত্র নগরী জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করেন এবং মার্কিন দূতাবাস সরিয়ে নেওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন। এ ঘোষণার পর ফিলিস্তিনের মুক্তি আন্দোলনের অন্যতম সংগঠন হামাসের নেতা ইসমাইল হানিয়া তৃতীয় ইন্তিফাদার ঘোষণা দেন।
হামাস নেতা হানিয়ার ঘোষণার পর ৮ ডিসেম্বর শুক্রবার জুমার নামাজের পর হাজার হাজার ফিলিস্তিনি বিক্ষোভ মিছিলের মাধ্যমে ইসরায়েল বিরোধী কার্যক্রম শুরু করে। যে কোনো হুমকি মোকাবিলায় হামাসের সব ইউনিটকে প্রস্তুতি নিতে বলা হয়৷ এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করতে মুসলিম দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়৷ মিশর যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবের বিরোধিতা করে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে জেরুজালেমকে স্বীকৃতি না দিতে জাতিসংঘে প্রস্তাব উত্থাপন করে। এরপর জাতিসংঘের উদ্যোগে সাধারণ পরিষদে এক ভোটাভুটির আয়োজন করা হয়। এতে ১২৮টি দেশ ইসরায়েলের বিপক্ষে ভোট দেয়। মাত্র ৯টি দেশ ইসরায়েলের পক্ষে ভোট দেয়৷
এখন পর্যন্ত তৃতীয় ইন্তিফাদা চলমান আছে। যদিও ইসরায়েল নতুন ফন্দি-ফিকির করতে ব্যস্ত। চলবে...
লেখক: প্রভাষক, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি
© 2023 | All Right Reserved | Developed By WebGet